Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
এবার বিশ্বের দেশে দেশে নারীকর্মী পাঠানোর রেজিস্ট্রেশন শুরু হচ্ছে...
বিস্তারিত

মালয়েশিয়ায় সরকারীভাবে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবার হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, জর্দানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নারীকর্মী পাঠানোর রেজিস্ট্রেশন শুরু করা হবে। সারাদেশেই পর্যায়ক্রমে রেজিস্ট্রেশন চলবে। বিদেশে চাকরির ক্ষেত্রে নার্সিং ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারীদের অগ্রাধিকার থাকবে। তাদের ইংরেজী ভাষায় দখল থাকতে হবে। এছাড়া হংকং যেতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের জন্য দুই মাসের চীনা ভাষা শিক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশনভুক্তদের তালিকা একটি 'কমন' সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। চাহিদা অনুযায়ী এখান থেকে বিভিন্ন দেশ কর্মী চেয়ে নিতে পারবে। মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা যে হারে আবেদন করেছিল-নারীকর্মীদের ক্ষেত্রে এত সাড়া মিলবে না বলে মনে করছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)।
সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে শুরু করে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে। ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে এই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালানো হবে। এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। যেখানে ইন্টারনেট সুবিধা নেইÑ ওই সব জায়গা থেকে অন্য কেন্দ্রে (ইন্টারনেট সুবিধা আছে) সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এক আগ্রহী কর্মীও যাতে বাদ না পড়েন সেদিকে নজর রাখা হবে। বিদেশে কম খরচে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) জানিয়েছে, অনলাইনে হংকং, সিঙ্গাপুর, জর্দানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গৃহকর্মী, নার্স, কেয়ার গিভার (বাচ্চা ও অসুস্থ মানুষকে দেখাশোনার কাজ), গার্মেন্টসকর্মী, বিক্রয়কর্মী, কৃষিকর্মীসহ বিভিন্ন পদে কর্মী পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন হবে। নার্সিং পেশা ছাড়া অন্যান্য পেশায় অষ্টম শ্রেণী থেকে এসএসসি পাস প্রার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
মালয়েশিয়ায় জিটুজি পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর জন্য যে প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে-এবারও একই পদ্ধতিতে নারীকর্মী নির্বাচিত করা হবে। মালয়েশিয়ায় মাত্র ৩৩ হাজার ১৭৮ টাকায় কর্মী পাঠানো হচ্ছে। নির্বাচিত নারীকর্মীরাও অল্প খরচেই বিদেশে চাকরি নিয়ে যেতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় প্রথম ধাপে কৃষিকর্মী পাঠানোর জন্য নিবন্ধনকারীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে ১১ হাজার ৭৫৮ জন নির্বাচিত হয়েছিল। এবার অবশ্য বিভিন্ন পেশার জন্য একবার রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা নেবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মালয়েশিয়ায় গত বছরের ৪ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী বিএমইটির ৩৭ ট্রেনিং সেন্টারে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত চূডান্ত প্রার্থীদের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করা হয়। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইযে উত্তীর্ণদের পরে বিএমইটির ৩৭ ট্রেনিং সেন্টারে ১০ দিনের 'ওরিয়েন্টেশন কোর্স' করানো হয়।
সূত্র জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় ২০০৯ সালের মার্চ থেকে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি বন্ধ করে দেয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর সরকারী পর্যায়ে শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাঁচ ক্যাটাগরিতে প্রায় ৫ লাখ শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া। যে পাঁচ ক্যাটাগরিতে মালয়েশিয়া শ্রমিক নেবে সেগুলো হলো ম্যানুফ্যাকচারিং, নির্মাণ, কৃষি, সেবা ও প্ল্যানটেশন খাত। প্রথম পর্যায়ে কৃষি খাতে ৫০ হাজার শ্রমিক নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মরত।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ১০ জানুয়ারি মালয়েশিয়া যাওয়ার রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে গণমাধ্যমে সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সরকারীভাবে মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহীদের তার নিজ ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় চার হাজার তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু ছিল। এছাড়া কিছু দুর্বল এবং কয়েকটি চালু না থাকা কেন্দ্রগুলো চালু রাখতে জেলা প্রশাসকরা কাজ করেছেন। তারা অন্য কম্পিউটার থেকেও রেজিস্ট্রেশন করেছেন। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেন। তবে আমরা ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রের ওপর জোর দিয়েছিলাম। এতে আমরা সফল হয়েছি। এ জন্য কোন ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র কাজ চলা অবস্থায় বিকল হয় তাহলে আগ্রহীরা পার্শ্ববর্তী ই্উনিয়নের তথ্য সেবাকেন্দ্র থেকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পেরেছে। বিদ্যুত সংযোগ না থাকা এবং বিদ্যুত চলে যাওয়ার সমস্যা থেকে বাঁচতে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে সবসময় জেনারেটর সুবিধা রাখা হয়েছিল। ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য বিভাগগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে রেজিস্ট্রেশনের তারিখ আলাদা করে দেয়া হয়েছিল। এতে আগ্রহীদের কোন রকম হয়রানি হয়নি। এছাড়া মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিশেষ রেজিস্ট্রেশন চলাকালে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা শক্তিশালী রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এটুআই লটারিতে বিভাগওয়ারি নির্বাচিতদের সংখ্যা ঢাকা ৩ হাজার ৬৪৬, চট্টগ্রামের ২ হাজার ২৮৭, রাজশাহীর ১ হাজার ৫৫১, রংপুরের ১ হাজার ৩৬২, বরিশালের ৭৬১, খুলনার ১ হাজার ২৭৯ এবং সিলেট বিভাগে ৮৭৩ জন নির্বাচিত হন। দীর্ঘ দিন মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ থাকার পর গত বছরের ২২ অক্টোবর দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়। এ চুক্তিতে প্রাথমিক পর্যায়ে মালয়েশিয়া সরকার তিন দফায় ৩০ হাজার লোক নিতে নীতিগতভাবে রাজি হয়। পরে সব প্রক্রিয়া শেষ করে এ বছরের মার্চ মাসে প্রথম ১০ হাজার কর্মী সেদেশে যাচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে ৩০ হাজার কর্মী সেদেশে যাওয়ার পর আরও কর্মী নেবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

তথ্য-

মোঃ শরিফুল ইসলাম (শরিফ)

০১৭৫১-২০৫১৫২

shariful2021@gmail.com

ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
04/02/2014